নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে অপহৃত নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম দেওয়াননগর এলাকার একটি ভাড়াঘর হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭।
গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মা ও ছেলেসহ ৪ জনকে আটক করে র্যাব।
আটককৃতরা হলেন, ১। মোহাম্মদ সাইমুন (২৪), পিতা: মোহাম্মদ ওসমান আলী, ২। হাছিনা বেগম (৪৫), স্বামী- মোহাম্মদ ওসমান আলী, উভয় সাং- ধর্মপুর, থানা-ফটিকছড়ি, ৩। মোঃ সোহেল (৩৭), পিতা-গোলাম হোসেন, সাং-পূর্ব আশিয়া, থানা-পটিয়া, এবং ৪। মোহাম্মদ রাসেল (২৫), পিতা- মোহাম্মদ হাবিব, সাং- ধর্মপুর, থানা-ফটিকছড়ি।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, অপহৃত ভিকটিম ১৫ বছর বয়সের এবং ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। আসামী মোঃ সাইমুন বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করত এবং মোবাইল ফোনে প্রায় সময়ই বিরক্ত করত। ভিকটিম বিষয়টি তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে অবহিত করে। ভিকটিমের মা তার মেয়েকে বিরক্ত করার জন্য বিষয়টি সাইমুনের মা এবং তাদের বাড়ীর গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে। এতে সাইমুন ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমদের বাড়ির লোকজনদের বিভিন্ন ধরনের গালমন্দ করে এবং ভিকটিমকে তাদের চোখের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি প্রদান করে। গত ১৩ আগষ্ট সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে ভিকটিম ঘর হতে বের হয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় পায়চারি করার সময় হঠাৎ আসামী সাইমুন অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহযোগিতায় তাকে জোর পূর্বক একটি সিএনজি গাড়ীতে করে অপহরণ করতঃ অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত লোকজন বিষয়টি ভিকটিমের মাকে জানালে ভিকটিমের মা বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ও এলাকার গন্যমান্য লোকজনদের জানালে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৫ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং–১০, তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২২খ্রি:, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরনের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ১১ নভেম্বর অনুমান ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন পশ্চিম দেওয়াননগর এলাকার একটি ভাড়াঘর হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং উক্ত অপহরণের সাথে জড়িত আসামী ১। মোহাম্মদ সাইমুন (২৪), পিতা: মোহাম্মদ ওসমান আলী, ২। হাছিনা বেগম (৪৫), স্বামী- মোহাম্মদ ওসমান আলী, উভয় সাং- ধর্মপুর, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা: চট্টগ্রাম এবং অপহরণে সার্বিকভাবে সহায়তা ও আশ্রয় প্রদানকারী আসামী মোঃ সোহেল (৩৭), পিতা-গোলাম হোসেন, সাং-পূর্ব আশিয়া, থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে ধৃত আসামীদের দেয়া তথ্য মতে এজাহার নামীয় ৪ নং আসামী মোহাম্মদ রাসেল (২৫), পিতা- মোহাম্মদ হাবিব, সাং- ধর্মপুর, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা: চট্টগ্রামকে ফটিকছড়ি থানাধীন নানুপুর এলাকা হতে রাত ০২.১০ ঘটিকায় গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামীরা বর্ণিত অপহরণের সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।